০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ |
ব্যক্তি থেকে ব্যবসা– সব কাজে এখন হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়া যেন চলেই না। কারণ অ্যাপটি বহুমুখী কাজে ব্যবহারযোগ্য। সারাবিশ্বে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি তথ্যবিনিময়ে অ্যাপটি নির্ভরযোগ্য ও তুমুল জনপ্রিয়। কিন্তু কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে এসব তথ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন আসা যৌক্তিক।
সারাবিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপ এখন সবচেয়ে জরুরি বিনিময় মাধ্যম। কিন্তু অনেক সময় হোয়াটসঅ্যাপে সুরক্ষা বিঘ্নিত হয় বলে অভিযোগ উঠছে। যা-ই হোক না কেন, নিজের হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষা নিজেকেই করতে হবে। সে জন্য মানতে হবে বেশ কিছু পরামর্শ।
রেজিস্ট্রেশন কোড বা ভেরিফিকেশন ওটিপি গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।
প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস অংশে যেতে হবে। সেখান থেকে অ্যাকাউন্টে ক্লিক করলে দৃশ্যমান হবে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন। সেখানে ক্লিক করে ‘টার্ন অন’ করে ছয় ডিজিটের পিন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবেই নিরাপদ হবে হোয়াটসঅ্যাপ।
সাবধান হতে হবে ওয়েব হোয়াটসঅ্যাপে। বিশেষ সুবিধার কারণে মাল্টিডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়। ঠিক সে কারণে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ফোনের অ্যাকসেস বা ইন্টারনেট সংযোগ কেউ পেলে অনেকে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে বসে অন্য কারও হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি চলতে পারে। ঠিক এ ধরনের অপতৎপরতা ঠেকাতে হোয়াটসঅ্যাপের ওপরে থাকা ডানদিকের তিনটি পয়েন্টে (থ্রি ডট) ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে লিঙ্কড ডিভাইস অপশনে যেতে হবে। ওই স্ক্রিনে দৃশ্যমান হবে অন্য কোনো কম্পিউটারে আপনার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ খোলা আছে কিনা। সন্দেহ হলে অবশ্যই দ্রুত লগআউট হতে হবে।
জানা প্রয়োজন, যদি কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত থাকেন, আর যদি তার অ্যাডমিন হিসেবে নির্বাচিত থাকেন, সেই গ্রুপে কোনো নিয়মবহির্ভূত কাজ হলে তার দায় আপনি কোনোভাবেই এড়াতে পারবেন না। তাই নিজে যেসব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন রয়েছেন, ওই সব গ্রুপে কী ধরনের বার্তা বিনিময় করা হচ্ছে, সেদিকে সতর্ক নজরদারি করতে হবে। ইদানীং হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বাতিল হচ্ছে।
তাই নিজেকে অনিরাপদ কোনো গ্রুপের কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে হবে। বাড়াতে হবে নজরদারি। থাকতে হবে সতর্ক